Books
Atma-abamanona bishoyok ek dui katha
₹ 110

শ্রীজাত’র কথায় – “অমিতাভ লেখালেখির জগতে নতুন, তার লেখাও, সেই অর্থে বেশ নতুনই। সে গল্প লিখেছে। কেন লিখেছে গল্প? রোজ তো কত কত গল্প লেখা হয়ে চলেছে, এমনকি আমাদের ভাষাতেও। ছাপাও হচ্ছে সেসব, ছোট-বড়-মাঝারি কাগজে। পড়েও ফেলছি আমরা। আর সেসব গল্পের মধ্যে, দু’একখানা গল্প ছাড়া মনেও থাকছে না বোধহয়। এখানে প্রশ্ন ওঠে, কেন মনে থাকছে না? দিব্যি ঝরঝরে বাংলায় লেখা গদ্য ভুলে যেতে খুব বেশি সময় লাগছে না কেন? আমার মতো সাধারণ পাঠকের কাছে এর একটা উত্তর এইরকম – নতুন কিছু লেখা না হলে আর মনে রাখা সম্ভব নয়। বাংলা ভাষার সম্পদ তার ঐতিহ্য, তার যুগোত্তীর্ণ রচনাধারা। লেখালেখির এই বিস্তীর্ণ সময়কালে বাংলায় এমন এমন সমস্ত লেখা, গদ্য আমরা পেয়েছি যে, তাদের ভুলে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না। তাই সময় যত এগিয়েছে, বাঙালি পাঠকের মনে তত বেশি করে স্মরণযোগ্য লেখা জমা পড়েছে। সাধারণ পাঠকের মনে কতটুকুই বা জায়গা। তাই আজ, এই ২০১৩ সালে, খুব নতুন কিছু লেখা না হলে সে ভুলে যেতেই পারে, দোষ দেওয়া যাবে না তাকে। এই জায়গা থেকে অমিতাভর চেষ্টাকে স্বাগত জানানো যেতেই পারে, কারণ সে নতুনভাবে লেখার চেষ্টা করেছে। ইদানীং ‘নতুন’ শব্দটাও বড্ড পুরনো মনে হয়, তাই কেমন নতুন, কী কারণে এবং কোথায় নতুন, তা জানতে হলে পাঠককে অমিতাভর এসব লেখা পড়ে ফেলতে হবে। এর বেশি ট্রেলারে দেখানো যায় না। এখানে প্রশ্ন উঠতেই পারে এবং আমি নিশ্চিত উঠবেই – এত লোক থাকতে বাংলায় নতুন একটি গদ্যের ভূমিকা খামোখা আমাকে লিখতে বলা কেন? আমি বিগত কয়েক বছর ধরে কবিতা লেখার একটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, এখনও ভেঙে পড়িনি। আমার কি অধিকার আছে গদ্যের বই নিয়ে একখানা ভূমিকা লিখে ফেলবার? আমি মনে করি নেই। তবে লেখাগুলো পড়েছি যখন, আমি একজন পাঠক তো বটেই। সেই অধিকারেই আমার মতামত জানালাম, যেটা ভূমিকা হিসেবে ছাপা হচ্ছে মাত্র। আর হ্যাঁ, আমার এই নগণ্য মতামতের সঙ্গে আপনাদের ধারণা মিলে গেলে আর কী, খুশিই হব।”

Available at:  
In the Media
REVIEWS
“অমিতাভ, তোমার বইটা পড়ে আমি কনফিউজড হয়ে গেলাম। চিরাচরিত বাংলা গল্পের ফর্ম, স্টাইল, ভাষা খুব রিচ বলেই তোমার গল্পের গল্পকথা পড়তে গিয়ে বারেবারে অবাক হয়েছি। তোমার টেল-টেলিং খুব আনইউজুয়াল। সিনারিও, ডায়ালগ, টাইম-স্পেস ইত্যাদির জটলা পুরো মিডিয়ামটাই পালটে দিয়েছে। খুব অ্যাট্রাক্টিভ এর রিডিং, বাট টেকস আ লং টাইম ফর মাইন্ড ইনগ্রেশন। যেন ফিল্ম তৈরির আয়োজন হচ্ছে। জাম্প, কাট, ফ্ল্যাশব্যাক, মন্তাজ, জুম, আন-ফোকাস, ক্যামেরা টু ক্যামেরা সুইচিং, আর মোর ওভার পরিচালকের চিন্তায় স্বগতোক্তি, সব মিলিয়ে এ একটা নতুন এক্সপেরিয়েন্স হল। তবুও যা, আমি মাঝপথেই বিদায় নিইনি, পুরোটা পড়েছি শেষ পর্যন্ত। ধন্যবাদ, বইটা আমাকে দেবার জন্য। আমি এক নতুন ধরনের গল্প পড়লাম। প্রিন্ট ফন্ট এত গুড়িগুড়ি যে পড়ার অসুবিধা হয়। রোহণের এই ব্যাপারটা পাঠকের জন্য খুব আনফ্রেন্ডলি। ভালো থেকো অমিতাভ। লিখতে থাকো।" বারীনদা
no record found.